বিশেষ প্রতিনিধিঃ স্বনামধন্য লেখক ও চিকিৎসক ফারহানা মোবিনের ছবি একটি কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে। শুক্রবার কয়েকজন পাঠক ও রোগীর মাধ্যমে বিষয়টি ফারহানার নজরে আসে। তীব্র ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ করে ঐদিনই নিজের ফেসবুক পেইজে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডাক্তার ফারহানা মোবিন।
এরপরই দেশে ও বিদেশে থাকা ফারহানার অগনিত ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা নানা ভাবে বিষয়টির প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। নিন্দার ঝড় ওঠে সোস্যাল মিডিয়ায়। দাবি জানানো হয় বিকৃত রুচির সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার।
প্রবাসী মানবাধিকার কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল এবং বাংলা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার ও প্রেজেন্টার রনক হাসান এ ধরনের অপরাধকে ক্ষমার অযোগ্য উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।।
রনক বলেন, ফারহানা মোবিন শুধুমাত্র একজন লেখক, চিকিৎসক বা চিকিৎসা বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা-ই নন; সৎ, আদর্শবান, নিরহংকারী এবং মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত এক মহৎ প্রাণ।
রনক হাসান জানান, ‘প্রবাসীদের ডাক্তার’ খ্যাত এই নিবেদিত প্রাণ চিকিৎসকের ছবি যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অশ্লীল কাজে ব্যবহার করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
এরকম একটি হীন অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই সিনিয়র সাংবাদিক।
কুয়েত প্রবাসী সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আ হ জুবেদ বলেন, জনপ্রিয় লেখক ও চিকিৎসক ফারহানা মোবিনকে নিয়ে আমি অনেক সমাজকল্যাণ মূলক কাজ করেছি।
কাজেই ফারহানা মোবিন সম্পর্কে অন্তত অনেকের চেয়ে আমিই ভালো জানি।
আ হ জুবেদ বলেন, মানবতার কল্যাণে কাজ করতে থাকা যে মানুষটি মৃত্যুর পরেও মানুষের কল্যাণে অবদান রাখার স্বপ্ন দেখেন, আর সেই উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে নিজের দেহ আর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দানও করে দিয়েছেন; মানব কল্যাণে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এরকম একজন মানুষের ছবি-ই কি-না ব্যবহার করা হয়েছে অশ্লীল কাজে!
কোনভাবেই এটি মেনে নিতে পারছেন না জুবেদ।
বলেন, ফারহানা মোবিনের ছবি ব্যবহার করে যারা এহেন নিন্দনীয় কাজ করেছে, অবশ্যই তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।
পাঠকদের জন্য ফারহানা মোবিনের ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো—-
কিছু অশ্লীল newspaper, YouTube channel আমার ছবি use করছে। ভিডিওর লোগোতে আমার ছবি, ভয়েস আরেক নারীর। লেখা অপরিচিত এক লেখক এর কিন্তু লেখার সাথে আমার ছবি use করা হয়েছে।
এই ধরনের জঘন্য YouTube channel আর third class newspaper এর সাথে আমি কোনোভাবেই সংযুক্ত না।
অশ্লীল কিছু লিখে বা অশ্লীল ভিডিওর লোগোতে আমার ছবি use করে, নোংরা খ্যাতি পাবার কোন ইচ্ছে আমার নেই।
রাগে আমার মাথায় আগুন……!!!
Third class এই সব channel আর newspaper এর সাথে যোগাযোগ করা যায়না। তারা অধিকাংশ সময়ে ভুয়া ঠিকানা, ভুয়া ফোন use করে।
কি পরিমাণ যে বিরক্ত লাগছে, লিখে বোঝানোর নয়…..!!!
কয়েকবার গুগলে রিপোর্ট করে delete করিয়েছি। তারা delete করেছে। কিন্তু কখন, কোথায় আমার ছবি use করছে, সেইটা মনিটর করা খুব কঠিন। আপনারা নেতিবাচক কোন লেখা বা ভিডিওর সাথে আমার ছবি দেখলে, আমাকে inform করবেন pls.
আমাকে ভুল বুঝবেন না।
আমি একবিন্দু অশ্লীল কিছু লিখিনা, বাজে কোন ভিডিও post করিনা।

ডাক্তার ফারহানা মোবিন
এমবিবিএস (ডি.ইউ), পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন (পাবলিক হেল্থ),
পিজিটি (গাইনী এন্ড অবস্-স্কয়ার হাসপাতাল),
রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার (গাইনী এন্ড অবস্),
স্কয়ার হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ,
ডায়াবেটোলোজি, বারডেম হসপিটাল (অনগোয়িং)
উপস্থাপিকাঃ প্রবাসীদের নিয়ে দেশের প্রথম ও একমাত্র স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘প্রবাসীর ডাক্তার’।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকঃ অগ্রদৃষ্টি ও ওয়ার্ল্ড বিটিভি।